স্মার্টফোন চার্জ রাতে নাকি দিনে? আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য আমাদের অগোচরেই দৈনন্দিন জীবনে জায়গা করে নিয়েছে, ডিজিটাল ক্যামেরা তাদের মধ্যে অন্যতম। আজকের সময়ে এটা কেবল একটি শখের বস্তু নয়, বরং অনেকটাই প্রয়োজনের। এ বিষয়টি বিবেচনা করে ক্যামেরা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের পণ্যগুলোকে উন্নততর প্রযুক্তির সমন্বয়ে এবং অপেক্ষাকৃত কম দামে ভোক্তার হাতে পৌছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ মূহুর্তে বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যামেরা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ক্যানন, নাইকন এবং সনি উল্লেখযোগ্য। ক্যামেরা কেনার আগে আসুন, এ তিনটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলগুলো সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। Sony Samsung Led TV - Replacement Guarantee , Free Delivery , Free Installation আগেকার দিনের সনাতনী ক্যামেরাগুলোতে এক ধরণের ফিতার মত রোল ব্যবহার করা হত, যাকে চলতি ভাষায় ফিল্ম বলা হয়। সে সময় এই ফিল্ম-টাই ছিল ক্যামেরার একমাত্র ক্যানভাস। কিন্তু আশির দশকের শুরুর দিকে ছবিকে ইমেজ সেন্সরের মধ্যে ধারণ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়। এতে ফিল্ম ব্যবহৃত ক্যামেরার চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী উপায়ে ছবি তোলা এবং সংরক্ষণ সম্ভব হয়। মূলত এ ধরণের ক্যামেরাগুলোকেই সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল ক্যামেরা বলা হয়। ইদানীং কালে বাজারে প্রধানত দুই ধরনের ডিজিটাল ক্যামেরা পাওয়া যায়। এগুলোর একটি হলো পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরা এবং অন্যটি ডিএসএলআর। ডিএসএলআর ক্যামেরার ব্যবহার তুলনামূলক কঠিন হওয়ায় সাধারণ ভোক্তামহলে এর ব্যবহার কম হয়। পেশাদার ফটোগ্রাফার বা একটু জানাশোনা মানুষই এ ধরণের ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন। আমরা এখানে তাই ডিএসএলআর ক্যামেরা বাদ দিয়ে কেবল পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ধরণের ক্যামেরার বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেল সম্পর্কেই আলোচনা করব। ডিএসএলআর-এর তুলনায় সহজে বহন ও ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় এটা বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নানা ধরণের অটোফিচার থাকায় এ ক্যামেরা ব্যবহারে আলোকচিত্রীর খুব বেশি দক্ষতা প্রয়োজন পড়ে না; আর দামের বিচারেও এটি লেন্সওয়ালা ডিএসএলআর ক্যামেরার তুলনায় সস্তা। এবারে চলুন ঢুকে পড়ি মূল আলোচনায়। APS-C-DSLRs-t ক্যানন: Canon ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জাপানী কোম্পানীটি এ যাবৎ কালের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্ববৃহৎ ক্যামেরা উৎপাদনকারী ব্র্যান্ড। ক্যামেরা ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানটি ক্যামকোডার, কম্পিউটার প্রিন্টার এবং ক্যামেরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্র যেমন: লেন্স, সেন্সর ইত্যাদি উৎপাদন করে থাকে। সহজ ইন্টারফেস, নানা ধরণের উপযোগী ফিচার, এবং চমৎকার লেন্স নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্যানন-এর পারদর্শীতা সবচেয়ে বেশি। পয়েন্ট এন্ড শ্যুট থেকে শুরু করে হাই-এন্ড ডিএসএলআর পর্যন্ত সব ধরণের ক্যামেরাতেই এই পেশাদারিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। কমপ্যাক্ট পয়েন্ট এন্ড শ্যুটের ক্ষেত্রে ১০এক্স অপটিক্যাল জুম ব্যবহৃত আইএক্সইউএস ১৫৫ ক্যামেরাটি অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ভালো। কাছাকাছি দামের অন্য দুটি ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে এর অপটিক্যাল জুম সবচেয়ে বেশি। এছাড়া সুপারজুম পয়েন্ট এন্ড শ্যুট হিসেবে পাওয়ারশট এসএক্স৪০০ আইএস বা এসএক্স১৭০ আইএস ক্যামেরা দুটিকে বিবেচনায় রাখতে পারেন। সেমি-ডিএসএলআর বা আরেকটু এডভান্স লেভেলের ক্যামেরা হিসেবে পাওয়ারশট এসএক্স৫০ এইচএস একটি ভাল ক্যামেরা। এর মেগাপিক্সেল কাছাকাছি দামের অন্যান্য ক্যামেরার তুলনায় একটু কম হলেও অন্যান্য ফিচার যেমন সেন্সরের আকৃতি এবং পিক্সেলের ঘনত্বের দিক থেকে এটিকে এগিয়ে রাখা যেতে পারে। নাইকন: নাইকন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইমেজিং এবং অপটিক্যাল সামগ্রী উৎপাদনকারী ব্র্যান্ড। শুধু তাই নয়, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জাপানী ব্র্যান্ডটি আমেরিকার বিখ্যাত এ্যারোনটিকস এবং এ্যারোস্পেস বিষয়ক গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান নাসা-এর ব্যবহৃত সকল অপটিক্যাল ডিভাইসগুলো সরবরাহ করে থাকে। এ তথ্য থেকেই নাইকন ব্র্যান্ডের ক্যামেরা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। তবে ডিএসএলআর বা হাই-এন্ড ক্যামেরার ক্ষেত্রে এ ব্র্যান্ডটি যতটা জনপ্রিয়, পয়েন্ট এন্ড শ্যুটের ক্ষেত্রে ঠিক ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি। এর পরেও কুলপিক্স এস৬৫০০ বা এস২৮০০ ক্যামেরা সাধারণ মানের ছবি তোলার ক্ষেত্রে খারাপ না। সুপারজুম মডেলগুলোর মধ্যে কুলপিক্স এল সিরিজের এল৩৩০ ক্যামেরাটি দেখতে পারেন। তবে এর কাছাকাছি দামে ক্যানন বা সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরাগুলোতে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু এর চেয়ে আরেকটু ভাল মানের ক্যামেরার ক্ষেত্রে নাইকনের পি ৬০০ ক্যামেরাটি আপনাকে মুগ্ধ করবার জন্য যথেষ্ট। অন্য দুটি ব্র্যান্ডের তুলনায় এ ক্যামেরাটির অপটিক্যাল জুম বেশি। এছাড়াও ভিডিও শ্যুট করার জন্যও এ ক্যামেরাটি অপেক্ষাকৃত ভাল সার্ভিস প্রদানে সক্ষম।
সনি: Sony বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্যামেরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সনি ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্যামেরা বাজারে আনে। মজার ব্যাপার হলো এটিও একটি জাপানী কোম্পানী। ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস এবং উন্নত পিকচার কোয়ালিটির কারণে এ ব্র্যান্ডটিও সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এছাড়া এ ক্যামেরাটির দাম অন্য দুটি ব্র্যান্ডের তুলনায় কিছুটা কম বলেও সুনাম আছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে সনি-এর যন্ত্রাংশ খুব একটা সহজলভ্য নয়। ক্যামেরা কেনার আগে এ বিষয়টি মাথায় রাখা ভাল। তবে পয়েন্ট এন্ড শ্যুটের ক্ষেত্রে খুব বেশি বাড়তি যন্ত্রাংশ ব্যবহার না হওয়ায় এ ব্র্যান্ডটিকে আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতেই পারেন। একদম নবীশ ফটোগ্রাফারদের জন্য সনি সাইবারশট ডিএসসি ডব্লিউ৩০ একটি ভাল ক্যামেরা। এর বাড়তি সুবিধা হলো এতে একটি ভিউ ফাইন্ডার আছে, যা কাছাকাছি দামের অন্য ব্র্যান্ডগুলোতে পাওয়া যাবে না। সুপারজুম মডেলগুলোর মধ্যে ডিএসসি এইচ৩০০ ক্যামেরাটি একটি চমৎকার ক্যামেরা। উন্নত অপটিক্যাল জুম এবং অধিক আলোক সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে এটি অন্য দুটি ব্র্যান্ডের কাছাকাছি মডেলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে সক্ষম। আরেকটু হাই-এন্ড ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে এইচএক্স ৪০০ভি বা ডিএসসি এইচ৪০০ ক্যামেরা দুটি।

Brandbazaarbd.com

Happy Arcade Shopping Mall

Shop No # 29-30, 1st Floor, House No # 3, Road No # 3, Dhanmondi, (Back Side of City College), , Dhaka-1205

Mobile: 01618028590  / 01619550030

Email: brandbazaarbd@gmail.com.

https://www.facebook.com/brandbazaarbd

agamir Shomoy